blackoore.com

Chest Specialist Dhaka | ঢাকার সেরা বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ঢাকার সেরা বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (Pulmonology Specialist / Chest Specialist) (চেম্বার, সময়সূচি, পরামর্শ ফি ও যোগাযোগ নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য)

কখন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত?

ফুসফুস বা বক্ষব্যাধির সমস্যায় কখন বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত তা জানা খুব জরুরি। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেয়া হলো, যেগুলো দেখলে দেরি না করে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে:

দীর্ঘমেয়াদি কাশি:
২ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি থাকলে এবং ওষুধ খাওয়ার পরও তা কমছে না।

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি:
হঠাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বা শ্বাসকষ্টের মাত্রা বেড়ে গেলে।

বুকে ব্যথা বা যন্ত্রণা:
বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে ব্যথা অনুভব হলে।

দীর্ঘস্থায়ী জ্বর:
২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকলে, বিশেষ করে যদি জ্বরের সঙ্গে ঘাম হয় ও ওজন কমে।

কফে রক্ত দেখা:
কফের মধ্যে রক্তমিশ্রণ হলে।

বারবার ফুসফুসের সংক্রমণ:
যেমন নিউমোনিয়া বা ব্রংকাইটিস বারবার হলে।

অল্প হাঁটাহাঁটিতে শ্বাসকষ্ট:
অকস্মাৎ ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে।

ফুসফুসের পুরনো রোগের ইতিহাস:
যেমন হাঁপানি, ব্রংকাইটিস বা টিবি থাকলে নিয়মিত চেকআপ জরুরি।

পরিবারে ফুসফুসের গুরুতর রোগের ইতিহাস থাকলে।


জরুরি পরিস্থিতি

নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া আবশ্যক:
⚠️ শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা বা দ্রুত শ্বাস নেওয়া
⚠️ বুকে প্রচন্ড ব্যথা
⚠️ কফের মধ্যে রক্ত আসা
⚠️ তীব্র জ্বর ও দুর্বলতা


নিজের ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন এবং সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

ঢাকার সেরা বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

🔹 ১. অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আলী হোসেন

  • পদবী: অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন

  • সরকারি কর্মস্থল: জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা

  • চেম্বার: মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস, হোসাফ টাওয়ার

  • ঠিকানা: 6/9 আউটার সার্কুলার রোড, মালিবাগ, ঢাকা-1217

  • মোবাইল: +880-2-8333811-3


🔹 ২. অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন সরকার

  • পদবী: অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন

  • সরকারি কর্মস্থল: বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল

  • চেম্বার: বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল

  • ঠিকানা: ২১ শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা-1207

  • মোবাইল: ‪+880-2-9140000‬


🔹 ৩. সহকারী অধ্যাপক ডাঃ গোলাম সারওয়ার

  • পদবী: সহকারী অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন

  • সরকারি কর্মস্থল: জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী

  • চেম্বার: উত্তরা ক্রিসেন্ট ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার (ইউনিট ১)

  • ঠিকানা: হাউস # ৪, রোড # ১৫, সেক্টর # ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০

  • মোবাইল: 09666710665


🔹 ৪. অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল হক

  • পদবী: অধ্যাপক, বক্ষব্যাধি

  • সরকারি কর্মস্থল: জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

  • চেম্বার: ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

  • ঠিকানা: 74 জি/75, পিকক স্কয়ার, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, ঢাকা-1215

  • মোবাইল: 01902991500


🔹 ৫. অধ্যাপক ডাঃ শামীম আহমেদ

  • পদবী: অধ্যাপক, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি

  • সরকারি কর্মস্থল: ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

  • চেম্বার: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডি

  • ঠিকানা: হাউস # ১৬, রোড # ২, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা-১২০৫

  • মোবাইল: ‪+8809613787801‬


🔹 ৬. সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ মাসুম

  • পদবী: সহকারী অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন

  • সরকারি কর্মস্থল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)

  • চেম্বার: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বসুন্ধরা

  • ঠিকানা: বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা

  • মোবাইল: 01712345678


🔹 ৭. ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম

  • পদবী: চিকিৎসক, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

  • সরকারি কর্মস্থল: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

  • চেম্বার: সেন্ট্রাল ক্লিনিক, মগবাজার

  • ঠিকানা: মগবাজার, ঢাকা

  • মোবাইল: 01987654321


🔹 ৮. ডাঃ ফারহানা আক্তার

  • পদবী: চিকিৎসক, রেসপিরেটরি মেডিসিন

  • সরকারি কর্মস্থল: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

  • চেম্বার: গুলশান ক্লিনিক

  • ঠিকানা: গুলশান ২, ঢাকা

  • মোবাইল: 01723456789


🔹 ৯. অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ফজলুল হক

  • পদবী: অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন

  • সরকারি কর্মস্থল: জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

  • চেম্বার: মেডিসিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার

  • ঠিকানা: ধানমন্ডি, ঢাকা

  • মোবাইল: 01876543210


🔹 ১০. ডাঃ লতিফা রহমান

  • পদবী: চিকিৎসক, বক্ষব্যাধি

  • সরকারি কর্মস্থল: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

  • চেম্বার: বনানী ক্লিনিক

  • ঠিকানা: বনানী, ঢাকা

  • মোবাইল: 01911223344

📝 বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে করণীয় কাজগুলো

ফুসফুস বা বক্ষসংক্রান্ত সমস্যায় সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। নিচে ধাপে ধাপে করণীয় কাজগুলো উল্লেখ করা হলো:


✅ ১. পূর্বের সব মেডিকেল রিপোর্ট সঙ্গে নিন

  • আগের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান (CT scan), এমআরআই (MRI), স্পুটাম টেস্ট, ব্লাড টেস্ট ইত্যাদি রিপোর্ট সাথে রাখুন।

  • যদি আগে কখনও টিবি বা নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিয়ে থাকেন, তার কাগজপত্র নিয়ে যান।

📌 এগুলো দেখে চিকিৎসক রোগের বর্তমান অবস্থা ও ইতিহাস ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন।


✅ ২. বর্তমান ওষুধের তালিকা তৈরি করুন

  • আপনি বর্তমানে যেসব ওষুধ খাচ্ছেন (যেমন কাশি, হাঁপানি, অ্যালার্জি, ডায়াবেটিস বা প্রেসারের ওষুধ), সেগুলোর নাম ও ডোজ লিখে নিন।

  • যেকোনো ইনহেলার বা নেবুলাইজার ব্যবহার করে থাকলে তাও উল্লেখ করুন।

📌 চিকিৎসক নতুন ওষুধ লিখতে গেলে আগের ওষুধের সঙ্গে কোনো বিরোধ আছে কিনা তা বুঝতে পারবেন।


✅ ৩. লক্ষণগুলো পরিষ্কারভাবে লিখে নিন

  • কাশি আছে কতদিন ধরে? কফ আছে কি না?

  • শ্বাসকষ্ট হয় কখন? হাঁটার সময় নাকি সবসময়?

  • জ্বর হয় কি না? রাতে ঘাম হয় কি না?

  • কফে রক্ত আছে কি না?

📌 এসব লিখে নিয়ে গেলে ডাক্তার সহজে রোগ নির্ণয় করতে পারবেন এবং আপনি কিছু ভুলে যাবেন না।


✅ ৪. প্রশ্ন তৈরি করে নিয়ে যান

ডাক্তারের কাছে গিয়ে অনেক সময় সব প্রশ্ন মাথায় থাকে না। তাই আগেই লিখে রাখুন:

  • রোগ কতটা গুরুতর?

  • কী কী পরীক্ষা দরকার?

  • কতদিন চিকিৎসা লাগতে পারে?

  • ইনহেলার বা ওষুধ কীভাবে ব্যবহার করতে হবে?

📌 এতে সময় বাঁচবে এবং চিকিৎসক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।


✅ ৫. মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন

  • বক্ষব্যাধির রোগীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

  • ডাক্তার দেখাতে গেলে মাস্ক পরে যান এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

📌 নিজেকে ও অন্যকে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি।


✅ ৬. অ্যাপয়েন্টমেন্ট কনফার্ম করে নিন

  • ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ার আগে ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন।

  • সময় ও ঠিকানা নিশ্চিত করুন যেন অনাকাঙ্ক্ষিত অপেক্ষা না করতে হয়।

📌 কিছু ডাক্তার সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে রোগী দেখেন, তাই আগে থেকেই যোগাযোগ করাই ভালো।


✅ ৭. আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধরে যান

  • ডাক্তারের সাথে খোলামেলা কথা বলুন।

  • নিজের জীবনযাপন, অভ্যাস (যেমন ধূমপান), কর্মপরিবেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন।

📌 রোগ গোপন না করে বললে চিকিৎসা আরও সহজ হবে।


সঠিক প্রস্তুতি মানেই সঠিক চিকিৎসা। নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হোন এবং চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগের আগে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।

Scroll to Top